রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
মোহাঃশরিফুল ইসলাম শিবগঞ্জ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কালের খবর : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে জেড এ বকুলের জালিয়াতি ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ। সোমবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে হাজী এশান মোহাম্মদ কারিগরি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহা. আব্দুর রউফ, শিবগঞ্জ ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আব্দুল জলিল, ধাইনগর এন টি এম কে আনক টিবিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. সানাউল্লাহ, কালিগঞ্জ আনক নাসরিন কারিগরি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. সোহরাব আলী, আট ও পনেরো রশিয়া আনক কারিগরি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম, চর জগন্নাথপুর আনক কারিগরি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আমিনুল ইসলাম, শেখ রাসেল আনক কারিগরি ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট সুপারিনটেনডেন্ট মো. খলিলুর রহমান ও তেলকুপি জমিলা স্মরণী কারিগরি ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট সুপারিনটেনডেন্ট মো. আনারুল ইসলাম এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সম্মেলনে ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে, আট ও পনেরো রশিয়া আনক কারিগরি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, জেড এ বকুল ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যক্তির নামে নামকরণ করলেও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডেও প্রবিধানমালা অনুযায়ী কোনো অর্থ প্রদান করেননি।
কিন্তু তিনি হাজী এশান মোহাম্মদ কারিগরি কামিল মাদ্রাসার ৩৫জন শিক্ষক-কর্মচারিদের কাছ থেকে অনুদানে ৯৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫’শ টাকা আত্মসাৎ করে নিজ পৈত্তিক জমিতে অট্টোলিকা তৈরি করেছেন। যা এই দূর্ণীতির প্রমাণ পেয়ে ২০০৮ সালের ২৩ মার্চে তার বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণায়ল ( যা স্মারক নং-শিমশাং:১৪/অভিযোগ-৭-৩/২০০৫/১৩১)-এ পরামর্শ দেয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, হেলসপ্ফা নামে একটি ভূয়া ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে ধাইনগর এন টি এম কে আনক টিবিএম কলেজ ও শেখ রাসেল আনক কারিগরি ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট নামে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ওই ট্রাস্টের অধীনে নেয়ার জন্য বার বার অপচেষ্টা করায় জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত রিপোর্টে ভূয়া ট্রাস্ট বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়াও হাইকোর্টেও রিট পিটিশন (১৬৯৯/২০০৭) দ্বারা মহামান্য হাইকোর্ট ২০০৯ সালে ৮ মার্চ ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তা প্রমাণিত হয়।
তিনি আরো বলেন, হাইকোর্টের রিট পিটিশন ১০৬৯৯/২০০৭ এর আদেশ গোপন রেখে মহামান্য হাইকোর্টে কারিগরি ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান সমূহকে তার নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য ৮৫৩০/২০১৪, ৮৫৩১/২০১৪ ও ৮৫৩৩/২০১৪ রিট পিটিশন দাখিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। ফলে এই ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীগণ আর্থিক ও মানসিক ভাবে চমর হয়ারানীর শিকার হচ্ছি। এছাড়া জেড এ বকুল ২০০৫ সাল থেকে ঢাকায় আত্মগোপনে থেকে বিভিন্ন দূর্ণীতি ও জালিয়াতি করে চলেছে এবং এ ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মরাচীদের বেতন ভাতা বন্ধ ও পরক্ষভাবে প্রাণনাশের দিয়ে আসছেন। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এ ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।